কাবাব মসলা
ভারত উপমহাদেশে মসলার ব্যবহার হাজার বছরের পুরানো। কী রান্নায়, কী আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় – নানানরকম বাহারি মসলার কদর সেই আগে থেকেই। মসলা যেমন খাবারকে মুখরোচক করে তোলে তেমনি ওষুধ হিসেবেও নানান রোগ সারিয়ে তুলতে সহায়ক।
ভোজনরসিক বাঙালী টনিক হিসেবে মসলা ব্যবহার না করলেও খাবারের স্বাদ বাড়াতে এর ব্যবহার করবেই করবে। ভিন্ন ভিন্ন রান্নার জন্য ভিন্ন ভিন্ন মসলা! এই যেমন বিরিয়ানির জন্য একরকম আবার কাবাবের জন্য আরেকরকম।
এত এত মশলা এই ব্যস্ত জীবনে বাসায় বসে তৈরি করাও কঠিন। কারণ এটি বেশ সময় সাপেক্ষ তাছাড়া আমাদের হাতে এত সময়ইবা কোথায়! এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরাও তাই বাজারে এনেছে হরেক পদের মশলা আর আমরাও ঝুঁকে পড়ছি রেডি মশলার দিকে৷ ‘সহজে পাওয়া গেলে কষ্ট করে মসলা তৈরি করতে যাব কোন দুঃখে’ আমাদের ভাবটা এমনই বলা যায়।
আধুনিক জীবন ব্যবস্থা আমাদের জীবনকে সহজ করেছে বটে সেই সাথে চিন্তাও ঢুকিয়েছে মাথায় এতসব রেডিফুড সব খাঁটি তো? প্রতিদিন কতশত ভেজাল পণ্য তৈরির খবর জানতে পারি আমরা।
যাই হোক, কথা হচ্ছিল মসলা নিয়ে। আমাদের শুরু থেকেই চেষ্টা ছিল মানুষের দোরগোড়ায় খাঁটি পণ্য তুলে দেয়া। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা আলহামদুলিল্লাহ অনেক পণ্যই এনেছি। মসলারও কয়েকরকম ভ্যারাইটি রেখেছি। কাবাব মসলার কথাই বলি আজ।
জিরা, শাহী জিরা, দারুচিনি, ছোট এলাচ, বড় এলাচ, জয়ফল, জয়ত্রী, সাগর ফেনা, তেজপাতা, গোলাপ, পিপল, খসখস, সাদা গোলমরিচ, কালো গোলমরিচ, চন্দন, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, একাংকি, কাবাব চিনি, যষ্ঠি মধু, আদাশুঁঠ, বসস, শুকনো মরিচ এতকিছু এক জায়গায় করে তবেই আমরা বানিয়েছি কাবাব মসলা। বলি কাবাব মজা না হয়ে যাবে কই?