বন্যার্তদের উপহার
বন্যার্তদের উপহার দেওয়ার জন্য আমরা চাল, আটা, আর তেল নিয়ে গিয়েছিলাম যমুনা নদীর বুকে জেগে ওঠা বিভিন্ন চরে ৷ সেখানে বসবাস করা মানুষগুলোর জীবন বড়ই বৈচিত্র্যময় ৷ কোন কোন বাড়িতে সৌর বিদ্যুৎ চলে, যাদের সামর্থ আছে ৷ যারা একেবারে নেহায়েত গরিব তাদের বাড়িতে কোন রকম বিদ্যুতের ছোয়া নেই, সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টের বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট ৩০ টাকা ৷ ফ্রিজ চালায় যারা তারা এতো দামী বিদ্যুৎ সংযোগ নেয় ৷ এদের অনেক জমিজমা আছে ৷
পলতে দিয়ে বানানো কেরোসিনের বাতি আছে কোন কোন বাড়িতে, বেশিরভাগ বাড়িতে সেটাও নেই ৷ কারন কেরোসিন কিনতে ৪০-৫০ টাকা খরচ করে গঞ্জে যেতে হয় ৷
চরম অভাবী মানুষগুলো বাতি জালানোর তোয়াক্কা খুব একটা করে না ৷ অন্য বাড়ির সৌর বিদ্যুৎ থেকে টর্চ লাইট চার্জ দিয়ে নিয়ে এসে জ্বালায় ৷ খুব একটা দরকার না হলে জ্বালায় না ৷ সন্ধ্যা লাগার সাথে সাথেই রাতের খাবার খেয়ে মানুষজন ঘুমিয়ে পরে ৷
এক অন্যরকম জীবন-যাপন করে যমুনা পাড়ের অভাবী অসহায় মানুষগুলো ৷