শীতকালে ঘি
শীত আসছে। সেজন্য আমাদের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। উষ্ণ পোশাক, নানান রকম ময়েশ্চারাইজার, রুম হিটার ইত্যাদি নানান জিনিস কেনাকাটা করছি। শীত নিবারণের জন্য শরীরকে শুধু বাইরে থেকে উষ্ণ রাখলেই হয় না, শরীরকে ভেতর থেকেও উষ্ণ রাখতে হয়। সেজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে স্নেহ জাতীয় খাবার গ্রহণ করা উচিৎ। কারণ ফ্যাট বা স্নেহ জাতীয় খাবার আমাদের শরীরে তাপ উৎপাদন করে শরীরের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে।
গুড ফ্যাট আমাদের জন্য অবশ্যই জরুরি তবে তা একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় গ্রহণ করতে হবে। গুড ফ্যাটের উৎস হিসেবে ঘি হতে পারে অনবদ্য এক খাদ্য উপাদান। আর শীতকাল ঘি খাওয়ার একদম উপযুক্ত সময়। এসময় ঘি হজম হয় ভালো। ঘি শীতকালে শরীরকে গরম রাখে। ঘি খেলে শরীরের আদ্রতা ঠিক থাকে, এটি ত্বককে শুষ্ক হতে দেয় না।
তাছাড়া ঘি নানানরকম ত্বকের অসুখ সারিয়ে তুলতে পারদর্শী, এটি সর্দিকাশিও কমায়। যারা একটুতেই দুর্বলতা অনুভব করেন তারা নিয়মিত ঘি খেতে পারেন কারণ ঘি দুর্বলতা কাটিয়ে তোলে।
ঘিতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে৷ এছাড়া ঘিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটও রয়েছে। ভিটামিন এ থাকায় ঘি চোখের জন্য ভালো, গ্লুকোমা রোগীরা ঘি খেলে উপকৃত হয়ে থাকেন। ঘি পোড়া ক্ষত সারিয়ে তুলতে সহায়তা করে। বলা হয়ে থাকে ঘি খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। কোলেস্টেরল এর সমস্যা না থাকলে ঘি খেতে কোনো সমস্যা নেই।
খাঁটি গাওয়া ঘি এর সন্ধানে যেতে হবে না বহুদূর। কারণ আমরা নিজেদের তত্ত্বাবধানে বানিয়ে এনেছি বিশুদ্ধ ঘি – ‘সামনা’।