ডায়রিয়ায় মধু
মানুষ প্রাকৃতিক খাদ্য হিসেবে, চিকিৎসার উপাদান হিসাবে মধুর ব্যবহার করে আসছে বহুদিন ধরেই। আমাদের দেশে ডায়রিয়ার, আমাশয় ইত্যাদির প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি। দূষিত খাবার, দূষিত পানি এগুলোর জন্য অনেকাংশে দায়ী।
আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মধুর একটি ঔষধি গুণ আমাদের জানিয়েছেন।
আবূ সা‘ঈদ (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) হতে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললঃ আমার ভাইয়ের পেটে অসুখ হয়েছে। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাকে মধু পান করাও। এরপর লোকটি দ্বিতীয়বার আসলে তিনি বললেনঃ তাকে মধু পান করাও। অতঃপর তৃতীয়বার আসলে তিনি বললেন তাকে মধু পান করাও। এরপর লোকটি এসে বললঃ আমি অনুরূপই করেছি। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ সত্য বলেছেন, কিন্তু তোমার ভাইয়ের পেট মিথ্যা বলছে। তাকে মধু পান করাও। অতঃপর সে তাকে পান করাল। এবার সে রোগমুক্ত হল।
[৫৭১৬; মুসলিম ৩৯/৩১, হাঃ ২২৬৭, আহমাদ ১১১৪৬] ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৬৯)
শিশুরা বিশেষ করে ডায়রিয়া, আমাশয় বা পেটের যে কোনো পীড়ায় বেশ দূর্বল হয়ে পরে। এক্ষেত্রে তরল খাবার, বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইনের সাথে সাথে পরিমিত পরিমাণে মধু খাওয়ানো যেতে পারে।