নতুন করে দুধের উপকারিতা বর্ণনা করার কিছু নেই। এর এত এত উপকারিতার কারণেই যুগ যুগ ধরে মানুষজন এর গন্ধ, আর অপ্রিয় স্বাদকে উপেক্ষা করে নাক মুখ চেপে ধরে নিয়মিত গিলে ফেলেন। এবার একে আরও ক্ষতরনাক স্বাদের এবং আরো বেশি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন কি করে করা যায় সেই রেসিপি নিয়েই হাজির হয়েছে আজ সরোবর টিম।
কীভাবে বানাবো দারচিনি-দুধ?
বানানোর প্রক্রিয়া একেবারে দুধের মত তরল।
এক গ্লাস গরম দুধের সাথে এক চা-চামচ দারুচিনি গুঁড়া আর নিজের স্বাদ মতো মধু কিংবা চিনি মিশিয়ে নিন; ব্যস! তৈরি হয়ে গেল অতি পুষ্টিদায়ক এক পানীয়।
এখন প্রশ্ন করবেন কেন এটা অতি পুষ্টিদায়ক পানীয়? সেই জবাব পাবেন নিচে। সুতরাং, বসেন, বসেন…বসে যান…
- শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর করতে
শরীরের ভেতরে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে শরীরকে নানারকম জটিল রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই শরীরে যাতে এই উপাদানটির ঘাটতি কখনও না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে প্রতিদিন দারচিনি মেশানো দুধ খাওয়া যেতে পারে।
- শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়
শীত এগিয়ে আসছে হু হু করে। এবছরও শোনা যাচ্ছে শীত নাকি রেকর্ড ভেংগে ফেলবে। দারচিনি-দুধ খেলে শরীরের ভেতরের তাপমাতা বেশ খানিকটাই বেড়ে যায়। তাই আসছে শীতে এই পানীয়টি হতে পারে শরীর গরম করার অন্যতম মাধ্যম।
- হজমের উন্নতি
এই পানীয়টিতে উপস্থিত একাধিক উপাকারি উপাদান পাচক রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে শরীরের মেটাবলিজ রেট বাড়িয়ে দিতেও সাহায্য করে। ফলে বদ-হজমের সমস্যা কমতে একেবারেই সময় লাগে না।
- দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়
একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে নিয়মিত দারচিনি মিশ্রিত দুধ খাওয়া শুরু করলে শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে দাঁতের ক্ষয় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে। সেই সঙ্গে দাঁতে পোকা লাগা বা ক্যাভিটির সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, মুখ গহ্বরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা কমাতেও এই পানীয়টি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- ওজন হ্রাসে সাহায্য করে
দারচিনি শরীরে প্রবেশ করার পর অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়। আর এমনটা হওয়ার কারণে স্বাভাবিক ভাবেই শরীরে ক্যালরির মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে কমে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও।
- গলা ব্যথা কমায়
ঠান্ডার সময় তাপমাত্রা ওঠা নামা করার কারণে গলায় ব্যথা এবং সেই সঙ্গে জ্বর,সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই এ সময়ে দুধ এবং দারচিনিকে সঙ্গে রাখা মাস্ট! দুধের সঙ্গে দারাচিনি মিশিয়ে খাওয়া শুরু করলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এতটা শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে গলার ব্যথা এবং জ্বরের প্রকোপ কমতে সময়ই লাগে না।