ওষুধীগুণের জন্য আমলা বা আমলকির বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। অনেক আগে থেকেই আমলা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ এবং ওষুধী গুণের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যাবহৃত হয়ে আসছে। আমলকি প্রকৃতিতে তুলনামুলক সহজলভ্য এবং কম ব্যায়বহুল। আমলায় রয়েছে ট্যানিন নামক উপাদান যা চুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবদান রাখতে পারে।
উপাদানঃ
আমলা পাউডার এ রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পটাশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট ,ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ,ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি
আমলা পাউডারের স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ
১। আমলায় রয়েছে ক্রোমিয়াম যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নিয়মিত আমলা গুড়া সেবন করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব।
২। নিয়মিত আমলা সেবন করলে হাড় মজবুত ও শক্তিশালি হয়। যাদের হাড় দুর্বল তাদের জন্য আমলা গুড়া ভালো সমাধান হতে পারে।
৩। মানসিক চাপ থেকে মুক্তি লাভের জন্য প্রতিদিন আমলা গুড়া খাদ্য তালিকায় রাখলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।
৪। চোখের সমস্যা সমাধান এ আমলা গুড়ার বিশেষ ভুমিকা রয়েছে। নিয়মিত আমলকি খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। আমলকি বর্ণান্ধ এবং চোখের অন্যান্য সমস্যায় আরাম প্রদান করে।
৫। হৃদপিন্ডের মাংসপেশীর জন্য আমলকি খুবই উপকারী।
৬। শরীরের বাড়তি ওজন এবং মেদ কমাতে আমলার জুড়ি নেই। যারা স্থুলতা নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত আমলকি খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
৭। আমলকি ব্যাক্টেরিয়া এবং ছত্রাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমাদের দেহ কে রোগ থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। আমলকি আমাদের শরীর কে শক্তিশালী করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৮। বমি ভাব থেকে নিষ্কৃতি পেতে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় আমলকি রাখা উচিৎ।
৯। আমলকি সেবনে মানসিক উত্তেজনা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
আমলা পাউডারের ব্যবহারঃ
১। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে আমলকি নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখা যেতে পারে।
২। শরীরের বাড়তি ওজন এবং মেদ কমাতে নিয়মিত আমলকি সেবন করা যেতে পারে।
৩। চোখের ব্যাথা এবং বর্ণান্ধ সমস্যা সমাধানের জন্য আমলকি খাদ্য তালিকায় রাখা যেতে পারে।
৪। মানসিক চাপ এবং টেনশন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমলকি খাওয়া যেতে পারে।