Description
কুযবার হল সরবরের ধনিয়া গুড়ার একটি বিশেষায়িত নাম। ধনিয়া গুড়া বাঙ্গালির প্রতিদিনের রান্নায় একটি গুরত্বপূর্ণ উপাদান। এটিতে রয়েছে খাদ্য আশ এবং প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ।এটির বহুবিধ ব্যবহার ছাড়াও অনেক স্বাস্থ্য গুণ রয়েছে। অনেক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যার সমাধানে ধনিয়া গুড়ার ব্যাপক ভুমিকা রয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানেও ধনিয়া গুড়ার বহুগুণ উল্লেখ রয়েছে।
উপাদানঃ
ধনিয়া গুড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, ফসফরাস এবং ক্যালসিয়াম।
ধনিয়া গুড়ার (কুযবারের) উপকারিতাঃ
১। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সারাতে ধনিয়া গুড়া দারুন কার্যকর।
২। ধনিয়া গুড়াতে রয়েছে লিনেন নামক এক ধরনের এসিড। যে কোন ঘা এর যন্ত্রনা কমাতে এটির ভুমিকা অনেক।
৩। রক্তের শর্করা ঠিক রাখতে ধনিয়া গুড়ার জুড়ি নেই।
৪। ধনিয়া তে থাকা কোরিয়াটিস হজমে সাহায্য করে। যাদের হজমের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত খাদ্য তালিকায় ধনিয়া রাখলে ভালো ফল পেতে পারেন।
৫। চুলের গোড়া মজবুত করতে ধনিয়া গুড়ার ভুমিকা অনেক। এ ছাড়াও চুলের গোড়া থেকে নতুন চুল গজাতে ধনিয়া গুড়া সহায়ক ভুমিকা রাখতে পারে।
৬। হরমোনের ভারসাম্য হীনতা, ডায়াবেটিস ও দুশ্চিন্তা কমাতে ধনিয়া গুড়ার অবদান অনেক।
৭। ধনিয়া তে থাকা ভিটামিন এ, ফলিক এসিড , ভিটামিন সি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৮। ধনিয়া গুড়া তে রয়েছে প্রচুর জীবানুনাশক উপাদান যা চুলকানি, ফোড়া, ব্রণ, একজিমা ইত্যাদি কমাতে সাহায্য করে।
৯। মুখের ঘা ও জ্বর কমাতে ধনিয়া গুড়া অত্যন্ত কার্যকর।
১০। ধনিয়া গুড়া তে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যার ফলে এটি লিভার ভালো রাখতে কাজ করে এবং হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
১১। ধনে গুড়া কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। ধনে গুড়ায় রয়েছে শক্তিশালি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেটি কোলেস্টেরলের মাত্রা সাধারণ পর্যায়ে নিয়ে আসে।
১২। বৃক্কের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ধনিয়া গুড়ার অবদান অনেক।
ধনিয়া গুড়ার (কুযবারের) ব্যবহারঃ
১। ওজন কমাতে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় ধনিয়া গুড়া রাখা যেতে পারে।
২। চুল পড়া সমস্যা সমাধানের জন্য নিয়মিত খাদ্য তালিকায় ধনিয়া গুড়া রাখা যেতে পারে।
৩। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে নিয়মিত ধনিয়া গুড়া সেবন করা যেতে পারে।
৪। রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে এবং ব্যাকটেরিয়া নিরাময়ে নিয়মিত ধনিয়া গুড়া সেবন করা যেতে পারে।