Description
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবনের নিসর্গ সৌন্দর্যের মাঝে প্রকৃতির নিজস্ব নিয়মে তৈরি এই মধু। সুন্দরবনের বিভিন্ন ফুল ও উদ্ভিদ থেকে মৌমাছিরা যে মধু সংগ্রহ করে তাতে থাকে নানা রকম পুষ্টিগুণ। কোন রকম কৃত্রিম প্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়াই, শুদ্ধ ও অনাবিল অবস্থায় সরাসরি প্রকৃতির কাছ থেকে সংগৃহীত এই মধু আপনার স্বাস্থ্যের বিশ্বস্ত সঙ্গী হবে।
সুন্দরবনের মধুর ঔষধি গুণ রয়েছে ব্যাপক। এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এনজাইম এবং অন্যান্য জৈব সক্রিয় যৌগ আছে যা এর থেরাপিউটিক সুবিধাগুলিতে অবদান রাখে। স্থানীয়রা প্রায়ই এটি বিভিন্ন অসুস্থতার জন্য একটি ঐতিহ্যগত প্রতিকার হিসাবে ব্যবহার করে
পুষ্টিগুণে ভরপুর:
সুন্দরবনের মধু ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যামিনো অ্যাসিডের মতো পুষ্টিতে ভরপুর। এই পুষ্টি উপাদানগুলি এর সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সুবিধাগুলিতে অবদান রাখে, এটিকে কেবল একটি মিষ্টি নয় বরং একটি প্রাকৃতিক সম্পূরকও করে তোলে।
অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য:
মধু, সাধারণভাবে, তার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। সুন্দরবনের মধু একই রকম গুণাবলীর অধিকারী হতে পারে, যা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করার প্রাকৃতিক উপায় প্রদান করে। এটি সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে অবদান রাখতে রাখে।
সুন্দরবনের মধু ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যামিনো অ্যাসিডের মতো পুষ্টিতে ভরপুর!
সুন্দরবনের মধুর ঔষধি গুণ রয়েছে ব্যাপক। এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এনজাইম এবং অন্যান্য জৈব সক্রিয় যৌগ আছে!
মধুঃ
মধু হল মহান সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত প্রাকৃতিক এ্যান্টিবায়োটিক । যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয় ৷ মধুতে বিদ্যমান প্রাকৃতিক গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ আমাদের শরীরে তৎক্ষনাৎ এনার্জি যোগায় ৷ এছাড়া মধুতে রেয়েছে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, অ্যামাইনো এসিড, খনিজ লবণ ইত্যাদি ।
মধু খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতাঃ
মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হজমশক্তি বৃদ্ধি, সর্দি-জ্বর উপশম, কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূরীকরণ, ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশন নিরাময়, শরীরের ওজন কমানো, রক্তের কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমানো, ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
– মধু খাওয়ার সবচেয়ে উত্তম নিয়ম হলো প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১-২ চা-চামচ মধু খাওয়া।
প্রাকৃতিক চাক কেটে মধু সংগ্রহের জন্য মৌয়ালরা সুন্দরবনের গহীনে চলে যায়। বছরের বিভিন্ন সময় সংগ্রহ করা গেলেও ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস এর জন্য উৎকৃষ্ট সময়। মৌয়ালরা মধু সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন নৌকাতে করে চাকের খোঁজে পাড়ি জমায় বনের গহীনে। সুন্দরবনের মধুতে খলিসা ফুলের নির্যাস বেশি থাকে। এই মধু অনেক পাতলা এবং সুস্বাদু হয়। তবে একটু পুরনো হয়ে গেলে খানিকটা গন্ধ নাকে আসতে পারে। এক্ষেত্রে হালকা রোদে তাপ দিলে এই গন্ধ দূর হয়ে যায়।
নকল ও ভেজাল মধু চেনার উপায়
১। সব মৌসুমে সারা বছর মধুর স্বাদ ও ঘ্রাণ প্রায় একই থাকে যা খাঁঁটি মধুর ক্ষেত্রে হয় না।
২। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষারা দ্বারা নিশ্চিত হওয়া যায়।
৩। এতে পোলেনের উপস্থিতি পাওয়া যায় না।
প্রাকৃতিক মধু চেনার কিছু পরীক্ষা নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা
১। অনেকে পানিতে এক ফোঁটা মধু দিয়ে পরীক্ষা করেন। মূলত মধুর আপেক্ষিক গুরুত্ব পানি অপেক্ষা বেশি থাকায় এটি পানির নিচে জমা হয়ই। কিন্তু অনেকের ধারণা মধু পানিতে ঢাললে যদি সটান নিচে চলে না যায় তবে সেই মধু খাঁটি নয়। কিন্তু মধু কীভাবে নিচে জমা হবে তা নির্ভর করে এর ময়েশ্চারের উপর। সাধারণত সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধুতে ময়েশ্চার বেশি থাকায় এটি পানিতে দিলে একটি বিক্ষিপ্ত হয়ে এরপর তলানিতে গিয়ে জমা হয়।
২। আগুন জ্বালিয়ে মধুর বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। কিন্তু আসল মধু ও নকল মধু উভয়ই আগুনে জ্বলে।
৩। নকের উপর রাখলে গড়িয়ে পরে কি না সেইটার ভিত্তিতেও অনেকে পরীক্ষা করে থাকেন। এক্ষেত্রেও মধুর ময়েশ্চারের উপর নির্ভর করে। মধুর ময়েশ্চার বেশি হলে গড়িয়ে পরবে। এর মাধ্যমে আসল বা নকল চিহ্নিত করা যায় না।
৪। মধুতে পিঁপড়া উঠবে না – এমন এক ধরনের কথা প্রচলিত আছে। কিন্তু খাঁটি মধুতেও পিঁপড়া উঠে।
৫। খাঁটি মধু জমে যাবে না – এমন একটি ধারনা প্রচলিত আছে যা মূলত ভুল ধারণা। বরং মধু জমে যাওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। একে মধুর স্ফটিকাকায়ন বলা হয়। এর ফলে মধুর স্বাদ গন্ধে কোনরূপ পরিবর্তন আসে না।
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.