Description
যানযাবিল হল সরবরের আদা গুড়া একটি বিশেষায়িত নাম। রান্না করা খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির অন্যতম একটি উপাদান হচ্ছে আদা গুড়া। সুস্বাদু রান্না করার জন্য এই আদা গুড়ার কোন বিকল্প নেই। আদা গুড়া শুধু স্বাদই বাড়ায় না, এতে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। নিত্যদিনের রান্নায় তাই আদা গুড়া অধিক হারে ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
আদা গুড়া তে রয়েছে ক্যালরি, প্রোটিন, কার্বহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ছারাও আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
আদা গুড়ার (যানযাবিল) উপকারিতাঃ
১। আদা গুড়া শরীরে রক্তের শর্করা কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত খাদ্যে আদার উপস্থিতি বাড়ালে রক্তে শর্করার পরিমান কমানো সম্ভব।
২। ক্যানসারের ঝুকি কমাতে আদা গুরত্বপুর্ন ভুমিকা রাখতে পারে। আদার মধ্যে থাকা জিনজেরলে ক্যানসার সেলের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে। আদা বিশেষ করে খাদ্যনালির ক্যানসার প্রতিরোধে শক্তিশালি ভুমিকা রাখতে পারে।
৩। সর্দি, কাশি, ও ঠান্ডা জ্বরে আদার গুরত্ব অনেক। প্রতিদিন সকালে আদার রস খেলে কফ, ঠান্ডাজনিত কাশি সেরে যাবে।
৪। আদায় থাকা জিনজেরলের উপস্থিতি দেহের যে কোন ইনফেকশন কে প্রতিহত করে। গবেষনায় দেখা গেছে যে, আদা রেসপিরেটরি সেংশাল ভাইরাস প্রতিহত করে ঠান্ডা লাগা থেকে শ্বাসনালীর সংক্রমন ও ঠান্ডাজনিত লক্ষন কে প্রতিরোধ করে। তাই রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত আদা খাওয়া উচিত।
৫। ব্যাথাজনিত সমস্যায় আদা গুরত্বপুর্ন ভুমিকা রাখতে পারে। প্রদাহরোধী গুনের কারনে চিকিৎসা বা সাপ্লিমেন্ট হিসেবে আদা ব্যাবহার করা হয়
৬। আদার মধ্য থাকা রাসায়নিক উপাদান পাকস্থলির ব্যথা নিরসন করে এবং খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে।
৭। হার্ট ভালো রাখতে এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে এবং স্ট্রোকের ঝুকি কমাতে আদা সহায়ক ভুমিকা রাখতে পারে।
৮।মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি তে আদা অত্যন্ত কার্যকরী। আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি- ইনফ্লেমেটরী প্রপারটিজ মস্তিষ্কের টিস্যুকে সুস্থ্য থাকতে সাহায্য করে। যার ফলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত হয়।
৯। ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও আদার যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত তারা নিয়মিত আদা সেবন করলে ভালো ফল পেতে পারেন।
১০। মাইগ্রেনের ব্যাথা সমাধানে আদা কার্যকরী ভুমিকা রাখতে পারে।
আদা গুড়ার (যানযাবিল) ব্যবহারঃ
১। ক্ষিধে বাড়াতে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় আদা রাখা যেতে পারে।
২। হজম শক্তি বাড়াতে খাদ্য তালিকায় আদা রাখা যেতে পারে।