Warmth in Winter
সরোবর অন্যান্য বছরের মতো এবারও শীতের হিম ঠেকাতে কম্বল বিক্রি করছে।
ছোট্ট একটা বাচ্চা। মা মারা গেলে বাবা আরেকটা বিয়ে করেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সৎমা সন্তানটাকে আপন করে নিতে পারেননি। বাবা শেষে বাচ্চাটাকে নানীর কাছে দিয়ে আসে। নানী বৃদ্ধা, দরিদ্র। নিজেই চলেন ভিক্ষা করে। শিশুটিকে পড়াশোনার জন্য দিলেন মাদ্রাসাতে।
প্রতিদিন বাসা থেকে যাওয়া করে। যেদিন তিনি খাবার দিতে পারেন সেদিন বাচ্চাটা খায়, যেদিন দিতে পারেন না সেদিন সে না খেয়েই থাকে। খাওয়ার সময় পড়াশোনা করতে থাকে। কাউকে বুঝতেও দেয় না সে যে অভুক্ত।
এমন অনেক শিশুর সাথে আমাদের দেখা হয় সরোবরের শীত অভিযানে। আমরা এই বাচ্চাটাকে একটা হুডি দিয়েছি। সেই হুডি যেটা আপনারা কিনে আমাদের দিয়েছেন।
আমরা যারা শহরে বসবাস করি, সেভাবে শীতের কষ্ট পাই না তাদের অনেকেরই প্রিয় ঋতু শীত। আমাদের অনেকের শীত ভোরে ফজরের সময় একটুখানি ঠান্ডা পানিতেই শেষ।
কারণটাও বেশ সঙ্গত – ইট কংক্রিটের দালানকোঠার এই উষ্ণ শহরে শীত আমাদের ছুঁতে পারে না।
তবে আমরা পাচ্ছি না বলে কি অন্য কোথাও শীত নেই?
উত্তরাঞ্চলের গ্রামগুলোতে শীত শুরু হয়ে গেছে। রোদের দেখা মিলছে বেলা হবার পরে! শীত বস্ত্রের অভাবে যারা আছে – হিমশীতল ঠান্ডায় – শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই যেন কুঁকড়ে থাকে!
সরোবর অন্যান্য বছরের মতো এবারও শীতের পোশাক – বয়ষ্কদের জন্য শাল, বাচ্চাদের জন্য হুডি, আর পরিবারের সবার জন্য রাতের হিম ঠেকাতে কম্বল বিক্রি করছে।
অর্ডার করতে চাচ্ছেন?
Warmth In Winter - Product & Price Details
প্রোজেক্টের কিছু ছবি
We want to give to others what we love for ourselves. So, we bring for you the same quality shawls that we love for ourselves. Our shawls are made with great care, by skilled hands. Then it either reaches you or some neglected people! You can buy this warmth of shawl for yourself or to give as a gift to others. You can reach some people who don’t have the warmth of winter clothes! If you cannot reach such persons, you can entrust us. Insha’Allah, We will deliver the shawl you bought, to those who really need it.
কম্বল কারখানা তৈরির উদ্দেশ্য
আমরা যখন প্রথম লালমনিরহাটে কম্বল বিতরণ করি তখনো সরোবর হয়নি – ২০০৭ বা ২০০৮ সালের কথা। সেসময় আমাদের কম্বল কিনতে হতো বঙ্গবাজার বা গুলিস্তান থেকে। কখনও ৪০০ টাকা কখনও ৫০০। এই জায়গাগুলো থেকে যারা পাইকারি কম্বল কিনেছেন তারা বুঝতে পারবেন কষ্ট।
প্রথমত, সেই ২০০৭ এ ৫০০ টাকা দিয়ে কম্বল কিনেও মন ভরত না। আমরা নিজেরাই যখন কম্বলগুলো গায়ে দিতাম – দেখতাম – উত্তরবঙ্গের শীত মানে না ওই কম্বলে।
দ্বিতীয়ত, গুলিস্তান থেকে গাবতলী নিয়ে যাওয়ার জ্বালা – কম্বলের সাথে ভ্যানে কে যাবে? দিনের বেলা ভ্যান যেতেও দেয় না। আপনি যদি বলেন কুরিয়ার করে দিতে তাহলে কিছু কম্বল কম পাওয়া যাবে। যে কোয়ালিটির কম্বল কিনেছেন সেটাই পাওয়া যাবে এমন সম্ভাবনা খুব কম।
তৃতীয়ত, দুর্নীতি। অনেক সময় কেজি কম্বল, যেটার ওজন এক কেজি, কিনে এনে দেখেছি ওজন কমে যাচ্ছে – ঘটনা কি? পানি স্প্রে করে ওজন বাড়ানো হয়েছিল।
চতুর্থত, দামের পার্থক্য। শীতের সাথে সাথে কম্বলেরও দাম বাড়ে-কমে। হয়তো আমরা টাকা তুলেছি ৩০০ কম্বলের, গিয়ে দেখি শীত বাড়ায় দাম বেড়ে ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা হয়ে গেছে।
সরোবর শুরু করার পরে আমরা প্রথম বছর সিরাজগঞ্জ থেকে ঝুট কাপড়ের কম্বল কিনে দেখি এই কম্বলে শীত মানে, তবে সেলাই ভালো না।
সবকিছু দেখে আমরা নিজেরাই কম্বল বানানোর শুরু করলাম – গার্মেন্টসের ঝুট কাপড় সেলাই করে দুই পরতের মোটা কম্বল। মোটা কাপড় – মোটা সূতা।
আস্তে আস্তে আমরা আবিষ্কার করলাম বিভিন্ন মানুষ, প্রতিষ্ঠান যারা শীতার্তদের মাঝে কম্বল দিতে চায় – তারাও আমাদের মতো সমস্যায় ভুগত।
সরোবরের কম্বলগুলো তাদের জন্য খুব উপকারের ব্যাপার হলো – তারা অল্প দামে খুব ভালো কাজের কম্বল পায়। আমরাও আলহামদুলিল্লাহ ব্যবসার একটা খাত পেলাম।
প্রথম দেখাতে অনেকগুলো সেলাই দেখে অনেকে ভয় পায় দেখে আমরা বিক্রির আগে কম্বলের স্যাম্পল দেখিয়ে নিই।
স্যাম্পল পছন্দ করার পরের কাজটা সহজ। আমাদের টাকা আর ঠিকানা দিয়ে দিলে কম্বল জায়াগামতো পৌঁছে যায় কোনো টেনশন ছাড়া।
আর কোনো কম্বলে যদি সমস্যা থাকে বা কোনো বস্তাতে যদি গুনতে ভুলে কম পড়ে যায় – আমাদের জানালে আমরা সেটা পরে পাঠিয়ে দিই, আমাদের খরচেই। ফলে মান এবং লজিস্টিকস নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হয় না বিতরণকারীদের।
এ কারণে প্রতিবছর আমাদের কর্পোরেট ক্লায়েন্ট – যারা আমাদের কাছ থেকে পাইকারী কম্বল কেনেন তাদের সংখ্যা বাড়ছে – আলহামদুলিল্লাহ।
আমরা কিন্তু শুধু কম্বলে আটকে নেই।
আপনার যদি কোনো মাদ্রাসা থাকে কিংবা গরীব মানুষদের শাল দিতে চান সেটাও আমাদের কাছে পাচ্ছেন।
কম্বল ৩৩০ টাকা, শাল ৩৫০ টাকা এবং হুডি ২২০ টাকা।
সাথে যুক্ত হবে পরিবহন খরচ – এটা নির্ভর করবে কোথায় ডেলিভারি হবে তার ওপর।
সরোবর থেকে পাইকারী হুডি, কম্বল বা শাল কিনতে হলে কী করবেন?
স্যাম্পল দেখতে চাইলে চলে আসুন সরোবরের দক্ষিণ বনশ্রীর অফিসে।
ঠিকানা?
বাসা ১১৫, রাস্তা ১৪, দক্ষিণ বনশ্রী, খিলগাঁও
আসার আগে 0186100 5555 নম্বরে ফোন করে আসার অনুরোধ থাকল।
কোনো কিছু জানার থাকলে একই নম্বরে Whatsapp এ মেসেজ দিতে পারেন। আমাদের ইনবক্স তো খোলা আছেই।
কোথায় কত পিস নেবেন জানিয়ে দিলে আমরা কুরিয়ার করতে কত খরচ লাগবে জানিয়ে দেব। অর্ডার নিশ্চিত করলে আপনার কাংখিত এলাকায় নিশ্চিন্তে পেয়ে যাবেন ইনশা আল্লাহ।
Copyright © 2024 – Shorobor.biz